চিফ হুইপ ও শেখ পরিবার নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য, বিক্ষোভ নিক্সন চৌধুরীর
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, ভাঙ্গার কাউলিপাড়ার সাকলাইন কাজী (ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি) শেখ পরিবার, শেখ সেলিম, আমার ভাই চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শেখ হেলাল, মামাতো ভাই শেখ তন্ময়কে নিয়ে জাত-বেজাতে গালিগালাজ করেছেন। এই কাজী সাকলাইনকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা যুবলীগের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এসব কথা বলেন।
মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ইতোমধ্যেই কাজী সাকলাইনের বিরুদ্ধে এই এলাকার মানুষ মামলা দিয়েছে। সে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে এবং শেখ পরিবারকে নিয়ে যে বিশ্রী ভাষায় মন্তব্য করেছে তার জন্য সাকলাইনের বিচার করতে হবে। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসনের জনগণ আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এর উচিত জবাব দিবে।
হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন কাজীর বিচার দাবিতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জিয়াউল মাদবরের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইলিয়াস পাশা, সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহির চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. পান্নু চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজীব ঢালী, সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন প্রমুখ।
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর বিভিন্ন সভা থেকে চিফ হুইপসহ জাতীয় নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘাড়ুয়া গ্রামে এক উঠান বৈঠকে ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফর উল্লাহর চাচাতো ভাই ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইন কাজী তাঁর বক্তব্যে চিফ হুইপ ও শেখ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর ও নির্বাচনি আচরণবিধি বহির্ভূত কথা বলেন। তার সেই বক্তব্য ‘ফরিদপুর.৪ আপডেট নিউজ’ নামের একটি ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টটি শিবচর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন পাশার নজরে এলে এদিন রাতেই তিনি বাদী হয়ে হেদায়েত উল্লাহ সাকলাইনের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ করেন।