বাগেরহাট-৩ আসনে নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারদার।

আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইদ্রিস আলী ইজারদার নৌকা প্রতীকের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইদ্রিস আলী ইজারদার বলেন, নৌকার লোকজন প্রতিনিয়ত নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আমার পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ছেন, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নানাভাবে হুমকিধমকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে নির্বাচনি পরিবেশে বাধা সৃষ্টি ও শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করছেন। এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড এখনই কঠোরভাবে বন্ধ করা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে নানা সংশয় দেখা দিয়েছে। এছাড়া ব্যালটে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে হবে অন্যথায় ভোট কেন্দ্রে গেলে দেখে নেওয়া হবে বলে নৌকার লোকজন ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়াচ্ছেন। ফলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিয়ে শংকার মধ্যে রয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে ইদ্রিস আলী ইজারদার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের স্বামী প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদার খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রতীক বরাদ্দের পরও সরাসরি নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-৩) এলাকায় গণসংযোগ, সভা, সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন ও নানা কৌশলে তার স্ত্রীর নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন, বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য জলিল শিকদার, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদার, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মণ্ডল, পৌর কাউন্সিলর সরোয়ার হোসেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাকিল ও পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম শিকদারসহ অন্যান্য নেতাকর্মী এবং সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।