১৮ কোটি মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব ইনশা আল্লাহ : মঈন খান
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ভুঁয়া-ধাপ্পাবাজী’র নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, এই নির্বাচন করে সরকার টিকে থাকতে পারবে না। আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণের আগে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে হঁটিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য ইনশাল্লাহ আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
মঈন খান বলেন, আমাকে প্রশ্ন করা হয়, ৭ জানুয়ারির ভোটের পর আপনারা কী করবেন? আমি স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই… এই সরকারকে বুঝতে হবে, ২০২৪ সাল, ২০১৪ সাল নয়। সরকার যদি মনে থাকে একটি ভুয়া-ধাপ্পাবাজীর ভোট করে তারা আবার পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিত করে নেবে…এটা কোনো দিন হবে না।
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য বুকের রক্ত দিয়েছে। আমরা রাজপথে থাকব, বুলেট মোকাবিলা করব, আমরা গ্রেনেড মোকাবিলা করব, কিন্তু আমরা শান্তিভঙ্গ করব না। এই সরকারকে হঁটিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য ইনশা আল্লাহ আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব।’
বহির্বিশ্বের চাপের পরও নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে নয়, নির্বাচন হয়ে গেছে। যেদিন ওরা মনোনয়ন দাখিল করেছে, সেদিনই একতরফা নির্বাচন হয়ে গেছে। সরকার ইতোমধ্যে ঠিক করে নিয়েছে, কোন সিটে কোন এমপি। ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদের কোনো গুরুত্ব বহন করে না।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমি বলছি–বিশ্বের শুধু গণতন্ত্রকামী সরকারগুলো নয়, আমেরিকা শুধু নয়, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন শুধু নয়, শুধু যুক্তরাজ্য নয়, শুধু কানাডা নয়, শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, বিদেশে যে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আছে; যেমন–অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশল আছে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আছে, তারা প্রত্যেকে একটি কথা বলেছে—২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপরে সরকার ক্র্যাকডাউন করে এদেশের গণতন্ত্রকে তারা হত্যা করেছে।’
মঈন খান বলেন, ‘আমরা ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা বলেছি, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে পরিবর্তন আনতে হবে। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা কোনোদিন সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা কোনো দিন অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না এবং আমরা চাই—দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশে পরিবর্তন আনবে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।’