চিকিৎসকের ওপর হামলা হলে উপযুক্ত শাস্তির হুঁশিয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসকদের ওপর যত্রতত্র হামলা হলে আর মেনে নেওয়া হবে না। হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসারত দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শরিয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নুসরাত তানিমের শারীরিক অবস্থার সরেজমিন দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন, শরিয়তপুর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়ার পর এরইমধ্যে সেখানে আসামিদের আটক করেছে প্রশাসন। বাকি সন্ত্রাসীদেরও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. নুসরাত তানিমের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ নেন। তিনি হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডা. নুসরাত তানিম জানান, নিম্নমানের ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লিখতে রাজি না হওয়ায় ল্যাবএইড ফার্মার একজন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শহীদুল ইসলাম মৃধার সঙ্গে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবর, লিখন মাতবরসহ প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন এই হামলা চালায়। হামলায় ডা. নুসরাত ও তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাফিও আহত হন।
ডা. নুসরাত আরও জানান, আহত অবস্থায় তারা বাসায় পৌঁছালে হামলাকারীরা পুনরায় বাসায় গিয়ে আবারও হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে ডা. নুসরাতের মা-ও হামলার শিকার হন। পরে রাতে ডা. নুসরাত ও তার মাকে শরীয়তপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত তানিম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার চিকিৎসা চলছে।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. নুসরাত সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে ফোন করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেদিনই তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুততম সময়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য অনুরোধ জানান। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন রাতেই মূল আসামি মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ শহীদুল ইসলাম এবং পরদিন সকালে স্থানীয় নেতা জুলহাস মাতবরকে গ্রেপ্তার করা হয়।