গোপালগঞ্জে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজন কারাগারে
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকসহ পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা রোজী তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে সন্ধ্যা ৬টায় ধর্ষকসহ পাঁচ আসামিকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার একটি মাদ্রাসার আবাসিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন শিক্ষক মো. ইসমাইল হোসাইন। এরপর বিনা চিকিৎসায় অসুস্থ অবস্থায়ই মাদ্রাসার দোতলায় গোপনে একটি কক্ষে রেখে দেয় শিশুটিকে। ৭ ফেব্রুয়ারি পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওদিনই রাতে তার বাবা মৌখিকভাবে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে মূল অভিযুক্ত মো. ইসমাইল হোসাইনসহ চার শিক্ষককে আটক করে পুলিশ। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি শিশুটির বাবা ইসমাইল হোসাইনসহ ছয়জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে অরো এক আসামি ওই মাদ্রাসা শিক্ষক আমেনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অন্য আসামিরা হলেন—মো. আওলাদ ওরফে আসাদুজ্জামান (৪৭), মাছুম বিল্লাহ (৩৬) ও মো. আল আমিন (২৫)। মামলার আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান মিজু পলাতক রয়েছে। ধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইসমাইলের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে।