স্কুলছাত্র নিরব হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিরব আহমেদকে (১৭) ছুরিতাঘাতে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পৃথক পৃথক স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার বালাশুর এলাকায় এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়।
উপজেলার নিউ অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এবং একই সময় ভাগ্যকুল ইউনিয়নের কামারগাঁও চৌধুরী বাড়ির সামনে ঢাকা-দোহার সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে হত্যাকারীদের ফাসির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।
মিছিলটি কামারগাঁও বাজার হয়ে ঢাকা-দোহার সড়ক প্রদক্ষিণ করে বালাশুর চৌরাস্তায় এসে শেষ হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে অংশ নেন ভাগ্যকুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম একুল খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান, ছাত্রলীগনেতা সিফাত, আবির, নিহত নিরবের মামা খৈয়াম বেপারী, মা নিপা বেগম, নানা সেকান্দার বেপারী, মেম্বার আইয়ুব খান, নিউ অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন অ্রান্ড হাই স্কুলের মালিক রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম, কামারগাঁও কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, কামারগাঁও আইডিয়াল হাইস্কুল ও বালাশুর নিউ অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের শত শত ছাত্রছাত্রীসহ ভাগ্যকুল ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কামারগাঁও চৌধুরীবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে ছুরিকাঘাতে নিরব নিহত হয়।
মানববন্ধনে দাবি করা হয়, গত বৃহস্পতিবার কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের ১২ থেকে ১৫ সদস্য মিলে স্কুলের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। তখন সাব্বির, নিরব ও কাজী অহিদুল এর প্রতিবাদ করায় কিশোর বখাটেদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে বখাটেরা এদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় ১০০ গজ পশ্চিমে কামারগাঁও চৌধুরীবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে এসে বখাটেরা নিরবকে ছুরিকাঘাত করে পাশের খালে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।