পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম হত্যা মামলায় বিচার শুরু
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম খান হত্যাকাণ্ডের মামলায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের এ অভিযোগ গঠন করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার নিজ বাড়িতে ফজলুল করিম খান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরদিন ৩০ আগস্ট তার মেয়ের জামাতা ব্যারিস্টার চৌধুরী মকিম উদ্দিন খান জাহান আলী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ২৭ জুলাই ২৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর শেখ মাহবুবুর রহমান। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের এ অভিযোগপত্রে ওপর নারাজি দেন বাদী ব্যারিস্টার চৌধুরী মকিম উদ্দিন খান জাহান আলী। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠান আদালত। এরপরে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রতন কৃষ্ণ নাথ তদন্ত শেষে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বর্তমানে এ মামলার কোনও আসামি কারাগারে নেই। ১৩ আসামি জামিনে ও ১২ জন পলাতক আছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম অত্যন্ত স্বাধীনচেতা, সমাজসেবক ও সচেতন নাগরিক ছিলেন। সমাজের যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। যে কারণে এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন ফজলুল করিম খান। মাদক প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। হত্যাকাণ্ডের দেড় মাস আগে আসামি শাহরিয়ার আসিফ রাসেলকে কয়েকশ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশকে ধরিয়ে দেন। এতে মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সঙ্গে ফজলুল করিমের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ২০১৩ সালের ২৮ আগস্ট আসামি এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন তপুর রামপুরা মক্কি মসজিদ গলির ভাড়া বাসায় বসে পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিমকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন ২৯ আগস্ট আসামি এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন তপুর নেতৃত্বে ওয়াসিম আহমেদ ওরফে রতন, শাহরিয়ার আসিফ ওরফে রাসেল, এনামুল হক পনির, মো. সেলিম ওরফে কলা সেলিম, মো. ইমাম হোসেন শাওন, অর্পণ আহমেদ জাভেদ, শফিকুল ইসলাম ওরফে জনি, মো. শাহজালাল, মো. হাবেল, কাজী মাসুদ পারভেজ, মো. আল আমীন, হাসান আবদুল বাকি, আবু বকর ছিদ্দিক ওরফে রুবেল, মো. হেমায়েত হোসেন হিমু ওরফে হিমেল খান, মো. রুহুল আমিন, শফিকুল ইসলাম বাদশা, মো. দেলোয়ার হোসেন দেলু, মো. মুন্না, হাজী বাবু, মো. বিপ্লব হোসেন, নাসির শেখ ওরফে সীমান্ত, মামুন ওরফে পাঠা মামুন ও সুজন ওরফে মাস্টার সুজন ঘটনাস্থলে যান।