গহীন বনে পথ হারিয়ে ৯৯৯-এ কল, ৩১ পর্যটক উদ্ধার
পথ হারিয়ে সুন্দরবনের গহীনে হারিয়ে যাওয়া ৩১ পর্যটককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হারিয়ে যাওয়ার পর দিগ্বিদিক শূন্য হয়ে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
ভয় ও আতঙ্কের কয়েক ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই পর্যটক।
আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বনের গহীন থেকে উদ্ধার হওয়া এ পর্যটকদের সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। আজ সকাল ১০টায় সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে যায় এসব পর্যটক। এরপর তারা করমজল পর্যটন কেন্দ্রের গণ্ডী পেরিয়ে কৌতূহলী ও অতি উৎসাহী হয়ে বনের গহীনে পথ চলতে থাকে। বনে চলতে চলতে দুই কিলোমিটার ভিতরে দিক-পথ হারিয়ে ফেলে তারা। পরে দিগ্বিদিক হয়ে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ৯৯৯-এ কল করে তারা। ৯৯৯-এ কল আসে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে, এম আজিজুল ইসলামের কাছে। পরে ওসি তাদের ফোনে পরামর্শ দিয়ে ও মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহারে করমজলের গহীন বন থেকে বিকেল ৫টার দিকে তাদের উদ্ধার করেন। এরপর স্থায়ী বন্দরের পিকনিক কর্নারে এনে সন্ধ্যায় তাদের নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার থেকে ৩১ জনের একটি দল আজ সকাল ১০টায় সুন্দরবনের করমজলে ভ্রমণে যায়। বনে প্রবেশের পর তারা পথ হারিয়ে ফেলে। তখন এ দলের মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফেরদৌস নামের এক কিশোর নিজ বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে তার মোবাইল ফোন থেকে ৯৯৯-এ কল দেয়। সেই কলে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৩১ পর্যটকের সবাই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের বাড়ি চিতলমারীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
হারিয়ে গিয়ে ৯৯৯-এ কল দেয়া শিক্ষার্থী মো. ফেরদৌস বলে, আমার মোবাইল ফোনে ব্যালান্স (টাকা) ছিল না। কিন্তু আমি জানতাম ব্যালান্স না থাকলেও ৯৯৯-এ কল করা যায়। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে ৯৯৯-এ ফোন করি। এরপর মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম ফোনে পরামর্শ দেন। তার পরামর্শে আমরা আমাদের ছায়া ও সূর্য দেখে সঠিক পথের সন্ধান পাই। পরে ওসিসহ তার টিম আমাদের উদ্ধার করে। এজন্য আমরা সরকারকে ৯৯৯-এর সেবা ও পুলিশকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। তা না হলে আমাদের কপালে কী ঘটত তা বলতে পারি না।