সাভারে ব্যবসায়ী সোহেল হত্যার অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
‘আমি আমার বুকের মানিককে ফেরত চাই। ঘাতকদের বিচার চাই, এখন সন্তান হারিয়ে এত বড় পরিবার কিভাবে চলবে’- বুক চাপড়ে এভাবেই চিৎকার করে বিলাপ করছিলেন রেবেকা খাতুন। তিন দিন আগে দুর্বৃত্তরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আদরের সন্তান সোহেল মোল্লাকে। সেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক আসামিকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন থানায়। সন্তান হারানোর বেদনায় বিলাপ করতে থাকেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে পৌর এলাকার বিনোদবাইদ এলাকা থেকে গোলাম রাব্বিকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আলামত হিসেবে জব্দ করা হয় রক্তমাখা একটি শার্ট। গ্রেপ্তার গোলাম রাব্বি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার রঘুনাথপুর গ্রামের আরশেদ আলীর ছেলে ।
এদিন সকালে সাভার মডেল থানায় এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম ও সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলি খান।
তারা জানান তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে গত ১১ মার্চ সন্ধ্যায় সাভার বাজার রোড এলাকার প্রাইম ব্যাংকের পূর্ব পাশে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেকে নেয়া হয় ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লাকে (২৫)। পরে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর গা ঢাকা দেয় ঘাতকরা।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল ও ঘটনার পরিপার্শ্বকতা পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ ধারণা করে, ঘাতকরা ওই ব্যবসায়ীর পরিচিত। হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাভার মডেল থানার এসআই হাসান সিকদারকে। তিনদিনের মাথায় ধরা পরে জড়িত গোলাম রাব্বি। তিনি জানান, এ হত্যাকাণ্ডে আল আমিন নামে নিহতের এক মামাতো ভাইকেও সম্পৃক্ত ছিল। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।
থানায় কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহতের মা রেবেকা খাতুন বলেন, ‘স্বামী অসুস্থ। আমার এই ছেলেটাই ছিল সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। আমি আমার বুকের মানিককে ফেরত চাই। ঘাতকদের বিচার চাই, এখন সন্তান হারিয়ে এত বড় পরিবার কিভাবে চলবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় গোলাম রাব্বিকে। এ সময় আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সাতদিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এসআই হাসান সিকদার।