চাঁদপুরে চিরনিদ্রায় হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ
চাঁদপুর উত্তর মতলবের সটাকি বাজার শরীফ উল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পিএইচপি কোরআনের আলোর বিচারক হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ তৃতীয় ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসে কোরআনের আলোয় আলোকিত এই মানুষটিকে শেষ বিদায় জানাতে আসেন হাজারও মানুষ। জানাজায় অংশ নেন তাঁর ভক্ত, অনুরাগী, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।
লাশবাহী গাড়িতে শেষবারের জন্য নিজ এলাকায় পৌঁছান কোরআনের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে নিবেদিত হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ। বাজারের পাশের ইদগাহ ময়দানে মরহুমের শেষ ও তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁকে।
এর আগে বাদ জোহর রাজধানীতে এই গবেষকের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএসটিআই জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে। এরপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় জানাজা।
গতকাল শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে দিল্লির একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন পবিত্র কোরআনের এই হাফেজ। আজ সকালে দিল্লি থেকে মরহুমের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছায়। মাওলানা আবু ইউসুফের পরিবার ও কোরআনের আলো ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্টরা বিমানবন্দর থেকে লাশবাহী কফিন গ্রহণ করেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন এনটিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী ও পিএইচপি ফ্যামিলি। দেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ ইসলামিক রিয়েলিটি শো পিএইচপি কোরআনের আলোর অন্যতম কারিগর ছিলেন মাওলানা আবু ইউসূফ।
হাফেজ মাওলানা আবু ইউসুফ পবিত্র কোরআনের আলো ছড়িয়েছেন দেশ থেকে দেশান্তরে। মহাগ্রন্থ আল কোরআনের আলোয় পুরো জীবনকে নিবিষ্ট করে রাখা ইসলামের এই গবেষকের জানাজা পড়ান তারই ছোট সন্তান।
১৯৮০ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মাওলানা আবু ইউসুফ ছিলেন বিএসটিআই জামে মসজিদের খতিব। বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন কোরআনের আলো মাখা এই আলোকিত মানুষ।
দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক রিয়েলিটি শো পিএইচপি কোরআনের আলো লাখো কোটি হাফেজ আর ইসলাম প্রিয় মানুষের হৃদয়ে যে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে তার পেছনের অন্যতম কারিগর ছিলেন মাওলানা আবু ইউসুফ।