প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অপহরণ : শোকজ করা হলো রুবেলকে
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে। তিনি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা, অপহরণের পর মারধরের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং ওই ঘটনায় করা মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থি।
নোটিশে আরও বলা হয়, এমতবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী তিন দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
এর ভেতর জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৮ মে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গত ১৫ এপ্রিল সোমবার। ওই দিন বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে মারধর করে। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ঘটনার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তাঁর সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামি সুমন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই তারা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেছে বলে স্বীকার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় লুৎফুল হাবীব রুবেলকে শোকজ করে ২২ এপ্রিল স্বশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ইসি।
লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান।