গরমে চু্য়াডাঙ্গা-পাবনায় তিনজনের মৃত্যু, স্বজনদের দাবি হিট স্ট্রোক
দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগী। অত্যধিক গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর খবরও আসছে বেশ। আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় দুজন ও পাবনায় একজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। মৃতদের স্বজনের দাবি ‘হিট স্ট্রোক’, তবে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিকভাবে কারণ নিশ্চিত করেননি।
এনটিভি অনলাইনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম জানান, জাকির হোসেন নামে একজন সকালে জেলার দামুড়হুদায় মাঠে কৃষিকাজ করার সময় মারা গেছেন। নিহতের বাবা আমির হোসেন জানান, রোদ গরমে মাঠের ধান মরার অবস্থা। জমিতে সেচ (পানি) দেওয়ার জন্য জাকির সকাল ৭টার দিকে মাঠে যায়। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পান তার ছেলে মাঠে স্ট্রোক করেছে। মাঠে থাকা অন্য কৃষকরা তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এই জেলায় অপর মৃত মর্জিনা খাতুন দামুড়হুদা ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী। জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে অত্যধিক গরমে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মর্জিনা খাতুন। পরে তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, জাকির ও মর্জিনা নামে দুজনকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তাদের অন্য কোনো রোগও থাকতে পারে।
আমাদের পাবনার প্রতিনিধি এ বি এম ফজলুর রহমান জানান, সেখানে গরমে সুকুমার দাস (৬০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, হিট স্ট্রোক কি না, নিশ্চিত করেনি প্রশাসন।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা পানের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকুমার। আশপাশের লোকজন তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি পাবনা শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা ছিলেন।
পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম রিমন সুকুমার দাসের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে, হিট স্ট্রোক কি না, তা ডা. রফিকুল ও পাবনা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শামীমা খাতুন নিশ্চিত করেননি।