আসামি ধরতে গিয়ে নারী-শিশুদের মারধর, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে নারী ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার (১১ মে) এ ঘটনা ঘটে।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী নুরুল আলম নুরুর বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় মামলা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নুরুল আলম সৌদি থেকে আরেকজনের স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। গতকাল ১১ মে তাঁর বাড়িতে থাকার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে এক নারীকে লক্ষ্য করে পিস্তল তাক করতে দেখা যায়। পরে আসামিকে না পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে।
ঘটনার সময় উপস্থিত নুরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম বলেন, ‘সাদা পোশাকে আসা লোকজন বাড়িতে ঢুকেই ভাইকে খোঁজ করতে থাকে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা বিষয়টি মানতে চায়নি। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আমার ভাইয়ের স্ত্রী-কন্যাসহ কয়েকজনকে মারধর করে। এ সময় মোবাইল ফোনে ধারণ করা কিছু ভিডিও তারা মুছে দিয়ে যায়।’
সারোয়ার আলম আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণ সংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছে। আমার ভাইকে ধরতে হলে কেন আমাদের বাড়িতে এভাবে হামলা হবে?’
এ বিষেয়ে পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযান চালাতে গিয়ে কোনো পুলিশ সদস্য যদি কারও সঙ্গে অসদাচরণ করে বা অন্যায়ভাবে শক্তি প্রয়োগ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’