চাঁদা না দেওয়ায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ বন্ধ, ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের
চাঁদা না দেওয়ায় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আইনজীবী মো. অজি উল্লাহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে আজ বুধবার (২৯ মে) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিতভাবে এই আদেশ দেন।
আদেশে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে রাজশাহীর পুলিশ কমিশনার ও বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁদা না দেওয়ায় রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) নির্মণাধীন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ভয়ে ঠিকাদার কাজ করতে পারছেন না। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন পাউবোর রাজশাহী সদর শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী সুকেশ কুমার।
জিডিতে বলা হয়েছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে পাউবোর অফিস চত্বরে ঢুকে পড়েন ২০ থেকে ২৫ জন। এরপর তারা গালমন্দ করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এ সময় ৩০ থেকে ৪০ শ্রমিক ভয়ে কাজ বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
জানা গেছে, ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার ম্যুরাল নির্মাণের কাজ করছে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খন্দকার কনস্ট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাসান কবির সিঙ্গাপুরে থাকায় তার প্রতিনিধি মো. পলাশ অভিযোগ করে বলেন, ১০ দিন আগে তারা কাজটি শুরু করেছেন। এরপর থেকেই বিহারি কলোনি, শালবাগান, উপশহর ও সপুরা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী চাঁদা দাবি করছিল। তারা বলেছিল, সংখ্যায় তারা ২৫ জন। সামনে ঈদ উপলক্ষে তাদের ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা না দেওয়ায় রোববার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেন। এর এক সপ্তাহ আগে সন্ত্রাসীরা পাউবো কার্যালয়ে আসে। চাঁদা না দিলে পাউবোর কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।