আপগ্রেডেশন জটিলতা নিরসনে বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্যের কক্ষে তালা শিক্ষকদের
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষকরা আপগ্রেডেশনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে সেখানেই অবস্থান করছেন শিক্ষকরা। গত রোববার (২ জুন) থেকে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
তবে শিক্ষার্থীদের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছেন শিক্ষকরা। গত রোববার এ কর্মসূচি পালন শুরু করে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেও আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবারও বেলা ১১টা দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা এবং তালা ঝুলতে দেখা যায় উপাচার্য এ কিউ এম মাহবুব ও সহ-উপাচার্য সৈয়দ সামসুল আলমের কক্ষের দরজায়।
শিক্ষকরা জানান তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
শিক্ষকদের অভিযোগ আপগ্রেডেশন বঞ্চিত ৩০ শিক্ষকের বিষয়টি গত ২৯ মে ৩৯তম রিজেন্ট বোর্ডে পাস হওয়ার কথা। কিন্তু রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে বশেমুবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, গত এক বছর ধরে দাবি আদায়ের লক্ষে বিভিন্ন আলোচনা ও সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি লক্ষণীয় নয়। তাই আমরা গত রোববার থেকে আমাদের পদোন্নতি ও ডিউডেটর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রভিসি ও রেজিস্টারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে আমাদের আন্দোলনরত শিক্ষকদের নিয়ে ভিসি, প্রভিসি প্রফেসর শামসুল আলম, রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমানসহ অন্যদের সঙ্গে আমাদের একটা ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে, আজ মঙ্গলবার ১১টার মধ্যে দাবি আদায়ের বিষয়ে ফলপ্রসূ ঘোষণা দিবে। কিন্তু তার কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি। তাই আমরা একাডেমিক কার্যক্রম অর্থাৎ পরীক্ষা ও ক্লাস যথারীতি চালু রেখে দাবি আদায়ে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ কর্মসূচি আরও কঠোরভাবে পালন করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনসহ কয়েকটি দাবি ছিল। এ বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ড ইতোমধ্যে একটি কমিটি করে দিয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে রিজেন্ট বোর্ড যে সিদ্ধান্ত দিবে সেভাবে আমরা আমাদের কাজ বাস্তবায়ন করব।’