স্ত্রী-কন্যাকে হত্যার দায়ে ফারুকের যাবজ্জীবন
স্ত্রী ও সাত মাসের শিশু কন্যাকে হত্যার দায়ে মো. কাওসার ওরফে ফারুককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১২ জুন) ঢাকা জেলার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাসরুর সালেকীন এ রায় ঘোষণা করেন।
স্ত্রী শিল্পী আক্তার ও সাত মাসের শিশুকন্যা ফারহিনকে ২০০৯ সালে ১৬ নভেম্বর হত্যা করেছিল ফারুক। দীর্ঘ ১৫ বছর দণ্ডিত আসামি কারাগারে থাকায় তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন। ফারুক ঝিনাইদহ জেলার কোর্ট চাঁদপুর থানা এলাকার বিদ্যাধরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নথি থেকে জানা গেছে, দণ্ডিত ফারুক তার স্ত্রী ও সন্তানসহ ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া কাঁঠালতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি পরনারীতে আসক্ত ছিলেন। স্ত্রী শিল্পী আক্তার এর প্রতিবাদ করে। ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর রাতে এই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। শিল্পী রাতে শিশু কন্যাসহ ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে তিনটায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ফারুক।
পরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ভিন্নরূপ দেওয়ার জন্য শিল্পীর মরদেহে আগুন দেয় ফারুক। এসময় মায়ের পাশে ঘুমন্ত শিশু ফারহিন আগুনে পুড়ে মারা যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ফারুককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত শিল্পীর ভাই সুমন বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ৯ জন এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন।