ট্রাফিক পুলিশের গ্রীষ্মকালীন পোশাক নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আবহাওয়ায় উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ট্রাফিক পুলিশের বর্তমান প্রচলিত পোশাকের গুণগত মান পরীক্ষা করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের জন্য (ট্রাফিক পুলিশ সদস্য) আরও আরামদায়ক পোশাক দেওয়ার বিষয়টি বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
আজ বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বৈঠকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদে নাসের শাহরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড তাপমাত্রা ও অসহনীয় গরমের মধ্যে মহাসড়কে টহল এবং গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও রাস্তার মোড়ে আইনশৃঙ্খলা ও নিয়ম লঙ্ঘন মোকাবিলায় ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের জন্য গ্রীষ্মকালীন পোশাক চালুর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না? এমন পরিকল্পনা থাকলে, সেটি কবে নাগাদ চালু হতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক গ্রীষ্মকালীন ইউনিফর্ম রয়েছে। গ্রীষ্মকালে ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের স্বস্তিদায়কভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করতে তিন সেট ফুল হাতা শার্ট সরবরাহ করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সদস্যদের সাদা কাপড় দিয়ে তৈরি করা ট্রাফিক হাতা, বিশেষ ধরনের পিক-ক্যাপ, সাদা বেল্ট এবং রিফ্লেক্টিভ ভেস্ট সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের অতিরিক্ত আরও এক সেট ইউনিফর্ম এবং এক জোড়া বুট সরবরাহ করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর দেশের আবহাওয়ায় উচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। এ ধরনের উচ্চ তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের জন্য খাবার স্যালাইন, পানীয় প্রভৃতি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।