ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রোতে ৫১ জাতের বিদেশি আম
চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রো’ নামে একটি আমের বাগান। তিন একর জমির আলোচিত ফ্রুটস্ ভ্যালি অ্যাগ্রোতে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ফলচাষ করে একের পর এক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
ফ্রুটস ভ্যালি অ্যাগ্রোর উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন। এ বছর বিশ্বখ্যাত ৫১ জাতের বিদেশি আম চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন তিনি।
হেলাল উদ্দিন চার বছর ধরে রাসায়নিক ও বিষমুক্ত বিদেশি ফলের চাষ করে চলেছেন। একের পর এক ফল চাষ করে হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। এখানে টমি অ্যাটকিনস, উতাউল্ফ, বেইলি মার্বেল, আলফনসো, গ্লেন, হেডেন, মায়া, সূর্যডিমসহ ৫১ জাতের আমের গাছ রয়েছে তাঁর বাগানে। সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই আমের চাষ করা হয়েছে। সাইজে বড় বিভিন্ন জাতের রঙিন আম দেশীয় অনেক জাতকে হার মানাচ্ছে। তার এই আম বাগান দেখতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন।
ফ্রুটস্ ভ্যালি অ্যাগ্রোতে ঘুরতে আসা মির্জা জাকির বলেন, ‘এই বাগানে আগেও আসা হয়েছে। তবে এই বছর বিদেশি আম দেখে অবাক হয়েছি। ৫১ জাতের আমের সঙ্গে পরিচিত হলাম। শুধু তাই নয়, ঘুরতে এসে বিভিন্ন আম খাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এখান থেকে পছন্দমতো আম কিনে নিয়ে যাব। এখানে যিনি আসবেন তিনি মুগ্ধ হবেন। আমিও চেষ্টা করব নিজের বাড়িতে এসব আমের চারা লাগাতে।
মুন্না, সুজন ও বাপ্পি আম বাগানটি দেখশোনা করেন। তারা জানান, বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন, তবে ফ্রুটস্ ভ্যালি অ্যাগ্রোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। এখানে কাজ করার কারণে বিদেশি বিভিন্ন ফল সম্পর্কে জানতে পারছেন। এখানে কাজ করে সবাই ভালো বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফ্রুটস্ ভ্যালি অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বের যত দামি দামি ফল আছে, তা নিয়ে কাজ করে ফ্রুটস্ ভ্যালি অ্যাগ্রো। এই বছর বাগানে বিশ্বখ্যাত ৫১ জাতের বিদেশি আমের মধ্যে ৪৭টি জাতের ফলন এসেছে। এই বাগানে এখন পর্যন্ত যা চাষ করেছি সবই সফল হয়েছি। দেশি আম থেকে এখানকার আম একটু ভিন্ন। দেখতে অসাধারণ এবং খুব সুস্বাদু। এখানে এসে যে কেউ বাজার থেকে কম মূল্যে আম কিনতে পারবেন।
হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, এ বছর বাগানে আমের ফলন খুব ভালো হয়েছে। নিয়মিত পরিচর্যা করলে পোকামাকড় ক্ষতি করতে পারে না। প্রত্যেকটি গাছেই ভালো ফলন এসেছে। মাত্র একটি গাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। সব মিলিয়ে এ বছর এই আম আগান থেকে ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা করছেন এই উদ্যোক্তা।