হজ পালনের সময় আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু
সৌদি আরবে হজ পালনের সময় জর্ডান ও ইরানের অন্তত ১৯ জন হজযাত্রী মারা গেছেন। সৌদিতে তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে ১৬ জুন উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এছাড়া ওইদিন একজন বাংলাদেশি হাজি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক। মো. আলমগীর হোসেন খান (৭৩) নামে ওই হাজি ১৬ জুন হজ পালন করতে গিয়ে মিনায় মারা যান।
মারা যাওয়া বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও দুজন নারী। এদের মধ্যে মক্কায় ১৩ জন, মদিনায় চারজন এবং মিনায় একজন মারা গেছেন।
হেল্পডেস্কের তথ্যমতে, সর্বশেষ গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুজন মারা যান। মারা যাওয়া দুজন হলেন–মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ। চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ মে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান।
মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন–নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরের তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।