দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। আজ শনিবার (২২ জুন) সকালে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর এএনআইয়ের।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বাংলাদেশের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। উভয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ বার সাক্ষাৎ করেছেন।
জয়সওয়াল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে লেখেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী গভীরতর হচ্ছে! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার আগে হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। দুই নেতা ২০১৯ সাল থেকে ১০ বার একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, সম্পর্কের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন।’
নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর ভারতে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া প্রথম বিদেশি অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে ‘বিশেষ অংশীদারকে’ স্বাগত জানানোর আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে অভিহিত করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল শুক্রবার ভারতে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘একজন বিশেষ অংশীদারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হলো! প্রধানমন্ত্রী মরেন্দ্র মোদি ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফরে আসা প্রথম অতিথি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে স্বাগত জানিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে দুই দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা, রাজ্যের মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ও কীর্তি বর্ধন সিং। এরপরই রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার (শেখ হাসিনা) রাষ্ট্রীয় সফর দুই দেশের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্ক’ নির্দেশ করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
বছরের পর বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশ একটি বহুমুখী সম্পর্ক তৈরি করেছে, যার ভিত্তি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভৌগলিক নৈকট্য। ঐতিহাসিকভাবে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আরও সম্প্রসারিত হয়েছে।
গত বছর উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম আরও জোরালো হয়েছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভার্চুয়ালি ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত আয়োজিত ভয়েস অব দ্য গ্লোবাল সাউথ সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশন এবং গ্লোবাল সাউথ সামিটের দ্বিতীয় ভার্চুয়াল সামিটেও অংশগ্রহণ করেন।