দেশের ১১ জেলা জেলায় দুপুরের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলছে, এসব জেলায় একইসঙ্গে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষ দিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালের খেপুপাড়ায় ২৭৯ মিলিমিটার। এ ছাড়াও কক্সবাজারে ১২১, কুতুবদিয়ায় ৭৩, তেঁতুলিয়ায় ৭০, সৈয়দপুরে ৫৫, ডিমলা ও চট্টগ্রামে ৫৩, চাঁদপুর ও ভোলায় ৫২, পটুয়াখালীতে ৬৭ মিলিমিটারসহ সারা দেশেই বৃষ্টিপাত হয়েছে।