পুলিশি বাধায় মানববন্ধন করতে পারেনি কোটাবিরোধীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ময়মনসিংহে মানববন্ধন করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বেলা সোয়া ৪টার দিকে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মানববন্ধনের পূর্বনির্ধারিত স্থান শহরের ফিরোজ জাহাংগীর চত্বরে আসেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ঐশর্য ও মুনীর। এ সময় তাঁরা মানববন্ধনের বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন উল্লেখিত দুই সমন্বয়ককে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এ সময় ঐশর্য বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া র্পযন্ত আমরা মাঠে থাকব। এভাবে আমাদের সরিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ বিজিবি সেনাবাহিনী এক সঙ্গে আমাদের আক্রমণ করছে। আমাদের ভাইরা শহীদ হয়েছে, আমারা তীব্র প্রতিবাদ ও বিচার চাই। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আরেক সমন্বয়ক মুনীর বলেন, কোটা সংস্কারের দাবি একমাত্র দাবি না। যারা মারা গেছে আমরা এটার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারের হিসেবেই আড়াইশ থেকে তিনশ মানুষ মারা গেল এটার কি কোনো বিচার হবে না। আমাদের ভাইরা যে মারা গেল এ জন্য আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচি ছিল। এদিকে ফিরোজ জাহাংগীর চত্বরে মানববন্ধন পালনের খবর পেয়ে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ ও অবস্থান নেয়। কর্মসূচির খবর পেয়ে শহরে পুলিশ ও বিজিবি ও র্যাবকে টহল দিতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগের অবস্থান :
এদিকে কোটাবিরোধীদের মানববন্ধনের খবর পেয়ে শহরের টাউনহল এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের বিপুল নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থানস্থলে আসেন সিটি মেয়র ও মহানগ আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। কোটাবিরোধীরা যাতে শহরে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান গ্রহণ করেন বলে নেতারা জানান।