সাভারে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে নিহত ৪
সাভারে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে এক নারীসহ চারজন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে এক সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শতাধিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ ও ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে। তাদের একজন মাছ ব্যবসায়ী রমজান আলী (৪০) ও বার্নিস মিস্ত্রী মুজাহিদ (২০)। এ ছাড়া নিহত অপর অজ্ঞাত তরুণীসহ দুজনের মরদেহ নিয়ে যান স্থানীয়রা। সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাভার ও আশুলিয়া।
ঢাকা অভিমুখে ছাত্রজনতার ঢল মোকাবিলায় দিনভর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শেষে বেলা তিনটার দিকে পিছু হটতে শুরু করে পুলিশ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাবার জন্যে জমায়েত হন হাজারও আন্দোলনকারী। এ সময় বাইপাইলে তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও গুলি ছুঁড়লে গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে রমজান আলী নামের এক ব্যক্তিকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
এর আগে রেডিও কলোনি ও বাজার বাসস্ট্যান্ডে সমবেত হবার চেষ্টার সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে গুলি ছুড়ল গুলিবিদ্ধ হন মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক সৈয়দ হাসিবুন নবীসহ ১০ জন।

জাহিদুর রহমান