প্রতিশোধ নয়, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান তারেক রহমানের
প্রতিশোধ নয়, দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এক ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর উদ্দেশে তারেক রহমান একথা বলেন।
ভিডিও বার্তায় তারেক রহমান বলেন, “প্রিয় দেশবাসী আসসালামু আলাইকুম। গৌরবজনক ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বীরোচিত ছাত্র জনতাকে অভিনন্দন। হাজারো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার পতন হয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন পরাজয় মানতে পারে না। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে দলমত নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এ বাংলাদেশকে কেউ পরাজিত করতে পারে না, পারবে না।
প্রিয় দেশবাসী বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি স্মরণ করছি, সেইসব মায়েদের যারা গণবিপ্লবে প্রিয় সন্তানকে হারিয়েছে। গত পনের বছরে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে হাজার হাজার সন্তান তাদের প্রিয় বাবাকে হারিয়েছে। অনেক স্ত্রী তাদের প্রিয় স্বামীকে হারিয়েছে। গুম খুন করে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনতার বিপ্লব সফল করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। বাসায় হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন সকলের পাশে আজ আপনাদের পাশে সারা বাংলাদেশ। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন, অনেকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। আমি অবিলম্বে তাদের কারামুক্তির দাবি জানাচ্ছি। ছাত্র-ছাত্রীরা যেন আবার ক্লাসে পরীক্ষায় ফিরতে পারে সেই পরিবেশ তৈরির জন্য দাবি জানাচ্ছি।
প্রিয় দেশবাসী, ১৮ কোটি মানুষকে জিম্মি করে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমি আশা করি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১২ কোটি জনতা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করতে পারবে সেই দিন চূড়ান্ত বিজয় আসবে। সেইজন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা গঠন করতে দেশের সকল রাজনৈতিক দল সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিজয়ের কাছে পরাজিতরা থাকলে বিজয়ের আনন্দ অনেক বেশি অনুভব হয়। সুতরাং রাহু মুক্তির এ সময়ে আপনারা কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটিয়ে শান্ত থাকুন। অনুগ্রহ করে কেউ প্রতিহিংসা পরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না। লক্ষিত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ১৯৫২, ১৯৭১ ও ১৯৮১ সালের মতো আবারও বিজয় অর্জন করেছে। প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে আবারও বীরোচিত অভিনন্দন।”