ভারতের গণমাধ্যমে অসত্য সংবাদের নিন্দা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার শিকার অধিকাংশই আওয়ামী লীগ নেতা। ১০০টির বেশি মন্দিরের হামলার দাবি করলেও তালিকার সত্যতা পায়নি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়েই মূলত তারা মাঠে আছেন। তবে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত অসত্য সংবাদের বিষয়ে নিন্দা জানান তারা।
রিয়া গোপ। নারায়ণগঞ্জে নির্বিচারে র্যাবের গুলিতে নিজ বাসার বারান্দায় নিহত হলেও তাকে সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে তুলে ধরা হয়েছে। জলের গানের রাহুল আনন্দের বাড়িতে আগুন লাগে পাশের বাড়ি থেকে। কিন্তু, এ নিয়ে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমেও তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে অনেক হিন্দু নেতা প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এবং জাতীয় কয়েকটি দৈনিক পত্রিকা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের পরদিন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ব্যানারে সমাবেশ হয় ঢাকাসহ নানা স্থানে। কিন্তু মন্দিরে হামলা নিয়ে সুস্পষ্ট কিছুই জানেন না সমাবেশে আসা আন্দোলনকারীরা।
মন্দিরে হামলার সময় হিন্দু ধর্মের বেশ কয়েকজন হাতেনাতে আটকের পর তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন নির্দেশিত হয়ে তারাই হামলা করেছেন। পথনাটকের অভিনেত্রীকে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ক্রিকেটার মাশরাফির বাড়ির আগুনকে লিটন দাসের বাসা বলে চালানো হয় ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে। এসব গণমাধ্যম অব্যাহতভাবে প্রচার করছে বাংলাদেশে ভালো নেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা।
আবার হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ হলেও সেখানে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে সংখ্যালঘুরা যেন কারও রাজনৈতিক হাতিয়ার বা আক্রান্ত না হন, এজন্য সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন দ্রুত করার দাবি তুলে ধরেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। তারা বলেন, যেসব জায়গায় সংখ্যালঘু বা মন্দিরের ওপর হামলা হয়েছে সেসবের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করতে হবে।