হিন্দুদের ভয়ভীতি দেখালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে : মেজর জেনারেল মঈন খান
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করে সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেছেন, হিন্দুরা সংখ্যালঘু নয়। এ দেশের নাগরিক। তারাও সামানভাবে নাগরিক অধিকার ও নিরাপত্তা পাবে। তাদেরকে ভয়ভীতি দেখালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ধামরাইয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা। এদিন জিওসির নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা পৌরসভার কায়েতপাড়ায় শ্রী শ্রী যশোমাধব মন্দির পরিদর্শন করেন।
এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেজর জেনারেল মো. মঈন খান বলেন, ‘কোনো ভয়ভীতি নেই, যদি কেউ ভয়ভীতি দেখায় আমাদের জানাবেন। আপনাদের শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাজ করবে। আপনারা যেন সুন্দরভাবে সংসার ও ব্যবসা করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করা হবে।’
মেজর জেনারেল মঈন খান আরও বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখা হলো সবচেয়ে বড় কথা। কোনো সমস্যা হলে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জানাবেন, তারা মুহূর্তের মধ্যে চলে আসবে।’
পরে জিওসি পুড়িয়ে দেওয়া ধামরাই থানা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘সেনাবাহিনী পুলিশকে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সবার আস্থা ফিরিয়ে আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাভার সেনানিবাসের ৮১ ইনফ্রেন্ট্রি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইফুল্লাহ, কমান্ডিং অফিসার ৮ প্রকৌশলী ব্যাটালিয়ন লে. কর্নেল মাহফুজুর রহমান, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন, ধামরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত বৈদ্য, ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) মো. জামাল হোসেন, ধামরাই উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি আসরাফ আলী, ধামরাই পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আশিকুজ্জামান স্বপন ও জ্যোতিবিদ্যা নিকেতনের প্রধান হৃদয় বিহারসহ স্থানীয় আরও অনেকেই।