বন্যাকবলিতদের পুনর্বাসনেও কাজ করবে আনসার : মহাপরিচালক
কুমিল্লায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালবাগ রওশন আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০০ কৃষকের মাঝে ধানের চারা বিতরণ করেন তিনি।
এ সময় আনসারপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, ‘আকস্মিক বন্যায় কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলের অসংখ্য মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এসব গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়াসহ শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণ উপকরণ সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ জনসম্পৃক্ত শৃঙ্খলা বাহিনী। সমগ্র দেশের গ্রামে গ্রামে এই বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের সেবায় কাজ করছে।’
কুমিল্লা রেঞ্জ কমান্ডার ও পরিচালক আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের কৃষকদের দুর্দশা দূরীকরণে সময়োচিত এ চারা বিতরণ পদক্ষেপ আসন্ন আমন মৌসুমে কিছুটা হলেও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করবে।
বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা যখন বীজতলা তৈরির জমির অভাবে বিপর্যস্ত, তখন আনসার বাহিনীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বীজতলা হতে চারা উৎপাদন করে ক্ষতিগ্রস্ত দুই জেলার কৃষকদের মাঝে চারা বিতরণ করে মোট ১০০ একর জমি আমন চাষের আওতায় নিয়ে আসে। তবে পর্যায়ক্রমে আরও বেশি সংখ্যক কৃষকদের পুনর্বাসনের আওতায় আনার পরিকল্পনাও বাহিনীর রয়েছে। তাছাড়া ভালো ফলন নিশ্চিত করতে আনসার বাহিনীর পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে সার, কীটনাশক থেকে শুরু করে সবজি চাষের উপকরণও আগামীতে বিতরণ করা হবে।’
চারা বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া খানম, কৃষি কর্মকর্তা জুনাঈদ কবীর খানসহ অন্যান্যরা।