চাঁনখারপুলে ছাত্র-জনতাকে টার্গেট করে গুলি চালানো সুজন পুলিশ হেফাজতে
৫ আগস্ট, দুপুর ১২টা। সেদিন লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি চলছিল। এ সময় রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতাকে টার্গেট করে গুলি চালায় পুলিশের সদস্যরা। সেখানে গুলি চালাতে দেখা যায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) মো. সুজন হোসেন নামের এক সদস্যকে। তাকে শনাক্তের পর হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহান।
ডিসি সারোয়ার জাহান গণমাধ্যমকে জানান, এপিবিএন-১৩ উত্তরা পূর্বের কনস্টেবল পদমর্যাদার সুজনকে গতকাল শুক্রবার এপিবিএনের পক্ষ থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সুজনকে শাহবাগ থানায় দায়ের করা ৯ নম্বর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে ওই থানায় হস্তান্তর করে ডিবি।
সুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মো. সারোয়ার জাহান বলেন, এপিবিএন কনস্টেবল সুজন হেফাজতে রয়েছেন। সরকারি বাহিনীতে কর্মরত কাউকে গ্রেপ্তার করতে গেলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অনুমতির বিষয় রয়েছে। সেই বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে চানখারপুল এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ওদিন শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও গুলি চালায় পুলিশ। এতে মারা যান বেশ কয়েকজন। এ সময় তৎকালীন রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আখতার হোসেনকে পাশে দাঁড়িয়ে থেকে নির্দেশ দিতে দেখা যায়।