সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে রুহুল আমিন (২০) নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ৪৫৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার পাট্রা গ্ৰামের রুহুল আমিন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারপিট ও গুলিবর্ষণ করে গুরুতর জখমসহ হত্যা প্রচেষ্টার ও হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওইদিন ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল নিয়ে থানার দিকে অগ্রসর হলে বাইপাইল মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন শিক্ষার্থী রুহুল আমিন। গুরুতর অবস্থায় তাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাড়াও মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শামীম আহম্মেদ সুমন ভুইয়া সুমন, ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এনামুল হক মুন্সী, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান, যুবলীগ নেতা কবির হোসেন সরকার ও মইনুল হোসেন ভূঁইয়া রাজু দেওয়ান।

রুহুল আমিন জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি আশুলিয়া থানায় মামলা করতে গিয়েছিলেন। তবে প্রথমে তার মামলাটি পুলিশ গ্ৰহণ করেনি। পরে তিনি আশুলিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আমলি আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ সিআর মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করে।