ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বেশি ঢাকায়, কম সিলেটে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/10/18/dengue-focas_2.jpg)
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ঢাকা বিভাগে, আর কম সিলেটে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই ২১০ জন এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৭ জনে।
আজ শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি বলছে, নতুন করে আরও ৪১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৪৬১ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা ও একজন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। আর আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২১০ জন, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৭ জন, বরিশাল বিভাগে ১৮ জন, খুলনা বিভাগে ৪৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ১২ জন ও সিলেট বিভাগে চারজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ৪৭ হাজার ৪৬১ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ২১৫ জনের মধ্যে ৫২ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ ছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যায়।