সাভারে সাবেক এমপিসহ ৪৫৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে আল আমিন হাওলাদার নামের এক সবজি বিক্রেতাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ ৪৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে নিজেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন আল আমিন হাওলাদার। তিনি সাভারের জিঞ্জিরা গ্ৰামের আবুল হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক। আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ভারী অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর জখম এবং হামলার হুকুম দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ওইদিন ছাত্র জনতা বিজয় মিছিল নিয়ে থানার দিকে অগ্রসর হলে বাইপাইল মোড়ে বাম হাতের কনুই, পিঠ, মাথা ও হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন আল আমিন হাওলাদার। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে স্থানান্তর করা হয় সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)।
সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ছাড়াও মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শামীম আহম্মেদ সুমন ভুইয়া সুমন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাতব্বর, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন খান, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এনামুল হক মুন্সী, ঢাকা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান রাজু আহমেদসহ আরও অনেকে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মামলার বাদী ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশুলিয়ার আমলি আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন। ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম মামলাটি ‘এজাহার’ হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিলে থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
ওসি আবু বকর বলেন, জুলাই আগস্ট গণহত্যা ও হত্যা প্রচেষ্টার বেশ কিছু মামলা পুলিশের অপরাধ সংস্থা সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে এসব মামলার বেশ কিছু আসামি গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ডে আছেন। অনেকে আবার রিমান্ডে শেষে কারাগারে আছেন। আত্মগোপনে থাকা আসামিদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।