মামুন-হাবিব ও হারুনসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/10/27/dmp.jpg)
জুলাই-আগস্টে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ও ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনসহ ১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাদের গ্রেপ্তার করে আগামী ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, সাবেক এডিসি বিপ্লব কুমার ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার ফারুক আহমেদ। পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে এটি তৃতীয় মামলা।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক একটি অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, ডা. দীপু মনি, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, রাশেদ খান মেনন, তৌফিক-ই-এলাহী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, জুনাইদ আহমেদ পলক, আব্দুর রেজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, গোলাম দস্তগীর, কামাল আহমেদ মজুমদার ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ১৮ নভেম্বেরর মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়াও ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আমলের সব হত্যা, গণহত্যা, বিচার বহির্ভূত হত্যা ও পিলখানা হত্যার বর্ণনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চায় ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
গত ১৫ অক্টোবর নিয়োগের পর প্রথম কর্মদিবসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসেন চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী এদিন ট্রাইব্যুনালে আসেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের অভ্যর্থনা জানান।
গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার কথা জানান।