অর্থনীতিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে গণতন্ত্র চলতে পারে না : জোনায়েদ সাকি
দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা উচ্ছেদ করতে হলে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানানোর পাশাপাশি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি’র তৃতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সাকি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে, মানুষ এখন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিদায় চায়। অর্থনীতিতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে কোনো গণতন্ত্র চলতে পারে না। তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবী মানুষ শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কল-কারখানার মালিকরা বেতন দিতে না পারলে সরকারকে শ্রমিকের মজুরি আদায় করতে দিতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, সোচ্চার হতে হবে।
পতিত শেখ হাসিনার সরকারের ঘটনা প্রবাহ উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর মানুষ একটা বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, একাত্তরের পর যা হয় নাই, নব্বইয়ের পর যা হয় নাই, সেটি এবার না হলে তারা মানবে না। ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ চায় সবাই। সেই জায়গায় থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশে আছি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেটি নিশ্চিত করতে হলে আগে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন থাকবে। মালিক যদি তার ব্যর্থতার জন্য বেতন দিতে না পারে তাহলে সেই দায় সরকারকে দিতে হবে।
এতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নওরিন রশিদ, আইনজীবী ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, নারী সংহতি আন্দোলনের সভাপতি শ্যামলী শীল প্রমুখ বক্তব্য দেন।