নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৫৫ নেতাকর্মী কারাগারে
রাজধানীর গুলিস্তান ও পল্টন এলাকায় মিছিল করার সময় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৫৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে পল্টন থানার ৪২ জন ও শাহবাগ থানার ১৩ জন।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান এই আদেশ দেন। এদিন রাজধানীর পল্টন ও শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় মিছিল করার সময়ে পল্টন ও শাহবাগ থানা পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর পল্টন ও শাহবাগ থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
পল্টন থানার মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় পল্টন মোড় এলাকায় ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পক্ষে স্লোগান দেন। এ ঘটনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন হয়েছে। পুলিশ সেখান থেকে ৪২ জনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যান।
শাহবাগ থানার মামলার এজাহারে বলা হয়, রোববার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ১০০ থেকে ১৫০ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হওয়ায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাহবুব হাসান, অহিদুল ইসলাম, ইব্রাহিম মজুমদার, মহিউদ্দিন হোসেন বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ মো. দোজাহান, জাকির হোসেন, জিয়া উদ্দিন, শহিদুল ইমলাম, ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সাগর হাওলাদার, মোশারফ হোসেন, আনসার হাওলাদার, কামরুল হাসান, রেহানা বেগম, লাকি বেগম, ওয়াসিম, মাছুম, আবু ইউসূফ, আলাউদ্দিন, আলী আহম্মেদ, এম এ মারুফ, রুবেল, কবির হোসেন, উম্মে হাবিবা, মোহনা আক্তার, মোসা. মুন, গীতা রানি বিশ্বাস, মোসা. পারভীন সুলতানা, ইসমাইল হোসেন রাজ, রাফসান, আবদুস সালাম আকন, রাশেদুল সিদ্দিক, মোসা. কোহিনুর, পুষ্প, নুর উদ্দিন আফসার, রাজু আহম্মেদ ওরফে মিরান, সেলিমুজ্জামান রাজা, কুদ্দুস মকদুম, শাহজাহান মৃধা, ইদ্রিস আহম্মেদ, জনি হাসান।