আইনজীবী সাইফুল হত্যায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যসহ আটক ২৭
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৭ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরমধ্যে অনেকে ভিডিও ফুটেজ থেকে শনাক্তের মাধ্যমে আটক হয়েছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যও আছেন এই তালিকায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আজ বুধবার (২৭ নভেমব্র) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সাইফুল হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে সিএমপি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বন্দরনগরীতে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভসহ (ককটেল) আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার গতকাল মঙ্গলবার যখন উত্তাপ ছড়াচ্ছিল, তখন চট্টগ্রামের আদালতপাড়া থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাতে বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরইমধ্যে খবর আসে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া চুনতি এলাকায়। তার হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিক্ষোভকারীরা এক আইনজীবীকে চেম্বারের নিচ থেকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। নিহত আইনজীবীর নাম সাইফুল ইসলাম ওরফে আলিফ (৩৫)। তিনি সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি)।
হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জনগণকে শান্ত থাকার এবং অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বন্দরনগরীসহ সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেন।
অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ২৭ জন আটকের তথ্য জানাল তার প্রেস উইং।