বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের দেহ পোড়ানোয় গ্রেপ্তার আরও ২ পুলিশ সদস্য
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও দুই পুলিশ সদস্যকে। এরা হলেন আশুলিয়া থানার এস আই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।
এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ থেকে এস আই মালেককে এবং কনস্টেবল মুকুলকে নবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এএসআই বিশ্বজিৎ রায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। কনস্টেবল মুকুলের গ্ৰেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।
এর আগে আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আশুলিয়া থানার কনস্টেবল মুকুল ও এসআই মালেক ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনকারীরা বিজয় মিছিল নিয়ে আশুলিয়া থানার দিকে অগ্রসর হয়। সে সময় নির্বিচারে গুলি করে নিহত ছয় জনের মরদেহ পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত ৩০ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া একটি ভিডিওতে ভ্যানে মৃতদেহ স্তুপ করে থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে সরানোর পর পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার নির্মম ঘটনা প্রকাশিত হয়।