চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ
চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় কাজল বেগম নামে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান গৃহবধূ কাজল বেগম।
বৈষম্যবিরোধী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, দগ্ধ অবস্থায় ইপিজেড এলাকার একটি সড়ক থেকে কাজল নামে এক নববিবাহিত যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাঁর অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসকরা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে নিয়ে যান।
জীবিত অবস্থায় কাজল বেগম জানান, ইপিজেড এলাকায় ননদের পাশের বাসায় থাকতেন তাঁরা। চলতি বছরের তিন সেপ্টেম্বর মাসে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। নিহত কাজল নোয়াখালীর সুবর্ণচরের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। প্রেম করে বিয়ে করায় ঘর থেকে বের হয়ে যান।বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই স্বামীর পরিবারের মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। এরপর তাঁর উপর শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন। যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পালিয়ে যাওয়ার কারণে করে আর ঘরে ফিরতে না পারায় অসহ্য নির্যাতন সহ্য করতে হয় তাঁকে। গতকাল রোববার তাঁকে নির্যাতনের পর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। রাতে তাঁকে সড়কে ফেলে দিয়ে আসেন তাঁরা।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক নয়ন ও নুসরাত জানান, এরপর কাজলকে শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে নিয়ে যায় চমেক হাসপাতালে।
এ ব্যাপারে জানতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খবর নিয়ে জানাবেন বলে জানান। আর ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
নিহত কাজল বেগম ও স্বামী মো. পারভেজের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।