চাঁদাবাজির দুই মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম রিমান্ডে
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় চাঁদাবাজির পৃথক দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তা কামারাঙ্গীরচর থানার এসআই জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস তার ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। অপরদিকে তার পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন আসামির জামিনের আবেদন নাকচ করে দুই মামলায় দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, মামলার বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ একজনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন। চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অপর আসামিরা গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সগির আহমেদ গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা করেন। এ ছাড়া কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন।