দীর্ঘ ত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে : ডা. রফিক
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি শুরু থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকেই এই সহযোগিতার মনোভাবকে দুর্বলতা মনে করতে পারেন। তাদেরকে মনে রাখতে হবে—এ দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতার সূর্য যেমন উদিত হয়েছিল তেমনি এ দলের অনেক নেতাকর্মীর দীর্ঘ ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সবুজবাগ থানার দক্ষিণগাও ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সবুজবাগে গরিব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. রফিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি আপস করতে জানে না। কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্টের সাথে আঁতাতের রাজনীতি কখনোই করে নাই। কিন্তু কেউ কেউ জুলাই বিপ্লবেও আপস করে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা করেছিল তা কিন্তু জাতি ভুলে যায়নি।
ডা. রফিক আরও বলেন, একটি বিশেষ দল দরজার পিছন থেকে এই সরকারকে প্রভাবিত করছে। যার ফলে সরকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। স্বাস্থ্য সেক্টরসহ সব সেক্টরে এই বিশেষ দলটি সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে প্রভাবিত করছে।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণমানুষের দল, তাই আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত গণতান্ত্রিক সরকার দায়িত্ব নিয়ে জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আন্দোলন করেছে, মানুষ জীবন দিয়েছে, বর্তমান সরকারের উচিত হবে যতদ্রুত সম্ভব জনগণের অধিকার ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং নির্বাচিত সরকার গঠনে ভূমিকা রাখা।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিক আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার দল বিএনপি সবসময় যেকোনো দুর্যোগে জাতীয়তাবাদী আদর্শ নিয়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। আগামীতেও দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে বিএনপি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব, সবুজবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম হোসেন, যুবদলের সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. জাভেদ, মাকসুদ আতাউর, সজলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।