দাওয়াতে মাংসের বদলে ঝোল দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/07/kustia_thum.jpg)
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি খতনার অনুষ্ঠানে মাংসের বদলে বারবার ঝোল দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাবার পরিবেশনকারী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার পর উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রাশিদুল ইসলামের ছেলের খতনা অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন—মনোহরপুর গ্রামের আকবরের ছেলে মাহফুজুর রহমান (২০) ও চান্নু হোসেন (৩৫), কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও ইয়াকুবের ছেলে জামিরুল (১৯)।
স্থানীয়রা জানায়, রাশিদুলের ছেলে রাফির খতনা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্তত ৩০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হয়। দুপুর থেকে সাজানো প্যান্ডেলে খাওয়ার আয়োজন চলছিল। বিকেল ৩টার দিকে সেখানে প্রতিবেশী আকবরের স্ত্রী, দুই সন্তান মাহফুজুর ও চান্নুসহ পরিবারের অন্তত আটজন এক টেবিলে বসেন। সেখানে খাবার পরিবেশন করছিলেন রাফির মামা শহিদুল ইসলাম। সে সময় চান্নু মাংসের গামলা বদল করে ভালো মাংস আনতে বলেন। শহিদুল কয়েকবার গামলা বদল করে দেন। তবে প্রতিবারই গামলায় অতিরিক্ত ঝোল থাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়, এ থেকেই সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় আধা ঘণ্টা চেয়ার–ছোড়াছুড়ি করে একে অপরকে আক্রমণ করেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত মাহফুজুর বলেন, বারবার মাংসের বদলে ঝোল দিচ্ছিল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার মাথায় চেয়ার দিয়ে আঘাত করে ফাটিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। এই হামলার ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/07/kussttiyyaa_chbi_2.jpg)
বাড়িওয়ালা রাশিদুল ইসলাম বলেন, মাংসের ঝোল নিয়ে প্যান্ডেলে নিজেরা নিজেরা মারামারি ও ভাঙচুর করেছে। অনুষ্ঠানের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণত হয়েছে।
আহত চান্নু হোসেন বলেন, চাচাতো ভাইয়ের ছেলে রাফির খতনার অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। মাংস চাওয়ায় রাফির মামা শহিদুল ও তার লোকজন আমাদের ব্যাপক মারধর করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাফির মামা শহিদুল ইসলাম বলেন, বারবার মাংসের গামলা বদল করে দেওয়ার পরও চান্নু অভিযোগ করতে থাকে। এ নিয়ে তর্কাতর্কি করতে করতে চান্নুরা আমাকে মারধর করে জামা ছিঁড়েছে, মেরে চোখ ফুলিয়ে দিয়েছে। ভিড়ের মধ্যে কে কার মাথা ফাটিয়েছে, তা জানি না।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক সোহাগ শিকদার বলেন, খতনার অনুষ্ঠানে খাবার পরিবেশকদের সঙ্গে আমন্ত্রিত অতিথিদের কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।