সরকারি টাকার প্লান্ট নিজ বাড়িতে, টুঙ্গিপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদকের অভিযান

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা গাজী গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবার জন্য সরকারি ৩১ লাখ টাকায় নিজ বাড়িতে লবণাক্ত দূরীকরণ প্লান্ট, দুই লাখ টাকার স্ট্রিট লাইট ও টাকার একটি ঘাটলা নির্মাণ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার (১৭ মার্চ) গিমাডাঙ্গার মধ্যপাড়ায় তার বাড়িতে গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালিয়েছে।
গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন অফিস জানায়, গত ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার পল্লী জনগণকে না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা গাজী গোলাম মোস্তফার নিজ গ্রাম টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গার বাড়িতে ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে রিভার্স অফমোসিস (আরও) প্লান্ট নির্মাণ করে দেয়। এছাড়া উপজেলা বাস্তবায়ন অফিস দুই লাখ টাকার স্ট্রিট লাইট ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাটলা তৎকালীন চেয়ারম্যানের ব্যক্তি স্বার্থে তার বাড়িতে নির্মাণ করে দেওয়া হয়; যা ক্ষমতার অপব্যবহার।
গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মো. মশিউর রহমান জানান, সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত বাড়িতে আরও প্লান্ট স্থাপন, স্ট্রিট লাইট ও ঘাটলা স্থাপনের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার ও পিআইও অফিসের প্রকৌশলীরা জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। জনগণের ক্ষতি করে ব্যক্তিগত বাড়িতে স্থাপন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।
ডিডি মো. মশিউর রহমান আরও জানান, সরকারি টাকায় নিজ বাড়িতে পানির প্লান্ট, ফ্লাইট ও ঘাটলা নির্মাণ করিয়ে নেওয়ায় দুদক আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে দুদক থেকে তার বিরুদ্ধে অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।