রিমান্ডে আনিসুল হক-দীপু মনি-ইনু ও রাশেদ খান মেনন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীতে পৃথক কয়েকটি থানার মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, জাসদ সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে রিমান্ড বাতিল চেয়ে পিটিশন জমা দেন আসামিদের আইনজীবীরা। তবে তারা শুনানি করেননি। আদালত তাদের প্রত্যেককে চারদিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আইনজীবী না থাকায় সাদেক খান নিজে কিছু বলবেন কি না, তার কাছে সেটি জানতে চান আদালত। তখন সাদেক খান বলেন, আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাব কোথায়? সময় তাকে থামিয়ে দেন এক আইনজীবী। তখন তিনি বলেন, আমাকে তো আদালত বলতে বলেছেন। পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
অপরদিকে দীপু মনি মামলার শুনানির পূর্বে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন দীপু মনি। তার আইনজীবী তাকে বলেন, আপা, আজ সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে।
প্রতি উত্তরে দীপু মনি আইনজীবীকে বলেন, যা রিমান্ড দেয় দিক। শুনানিতে কিছু বলবি না। কিছু বলার দরকার নেই। তখন তার আইনজীবী বলেন, আপা, শুধু রিমান্ড বাতিলের আবেদন দিয়েছি। কোনো শুনানি করব না। পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ইনু, মেনন, দীপু মনির চার দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও দীপু মনিকে চারদিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওবায়দুলের স্বজন মো. আলী।
আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ মামলায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।