দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জনের যাবজ্জীবন

রাজধানীতে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. শাহাদাত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলো ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানার জনতা হাউজিং এলাকার শেখ মো. ফারুক হোসেনের ছেলে ফাহাদ শেখ পিয়াল, একই থানা এলাকার মোল্লাপাড়ার ইয়াসিন সরদার হৃদয়, একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন দেলু, মিরপুর থানা এলাকার বারেক মোল্লার মোড়ের সুজন ও শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার উজ্জ্বল। রায় ঘোষণার সময় ইয়াসিন সরদার হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন দেলু পলাতক ছিল। অন্যান্যদের হাজতি পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়। এই মামলায় সর্বমোট পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন দণ্ডিত ফাহাদ শেখ পিয়ালের আইনজীবী শামীমা আক্তার শাম্মী।
মামলার ঘটনায় জানা যায়, ১৫ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে দণ্ডিত হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হৃদয় তার প্রেমিকাকে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় দেখা করতে যেতে বলে। ওই কিশোরী দেখা করতে গেলে হৃদয় তাকে পার্শ্ববর্তী ফাহাদ শেখ পিয়ালের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে হৃদয় কিশোরীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। অচেতন অবস্থায় আসামিরা কিশোরীকে পালাক্রমে ছয় দিন ধর্ষণ করে। কিশোরীটির জ্ঞান ফিরলে সেখান থেকে সে পালিয়ে আসে। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।