গোপালগঞ্জে এলজিইডির সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

গোপালগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বেশ কয়েকটি কাজের দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুদক কর্মকর্তারা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়ায় এলজিইডির অফিস ও নির্মাণাধীন এলাকা পরিদর্শন করে এই অনিয়মের প্রমাণ পান।
দুদক গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা হাই স্কুল থেকে রামদিয়া পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব কম পাওয়া গেছে, কিছু অংশ ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ও ব্রিজের সংযোগে উঁচু-নিচু থাকায় চলাচলে গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া বিচারপতি খিজির হায়াৎ চৌধুরীর বাবার ব্যক্তিগত বাড়িতে যাওয়ার জন্য ৬৫ মিটার রাস্তা নির্মাণে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের মান্দ্রা খেয়াঘাট টু বাপার্ড পর্যন্ত ছয় দশমিক ০৬৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তা তৈরিতেও অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুই কোটি ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৮০ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও দীর্ঘ দুই বছরে তা শেষ না হওয়ায় গ্রামবাসীর চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।
রাস্তার নির্মাণ কাজের পিআইসি ও কুশলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী রাস্তার প্রশস্ততা ও উচ্চতার প্রশ্নে বলেন, বিগত এক বছর আগে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং মানুষের চলাচলে কিছুটা দেবে গেছে।
এলজিইডির কোটালীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সফিউল আজম বলেন, প্রকল্পের কাজ যেটুকু শেষ হয়েছে সেটুকু বুঝে নিয়ে বিল দেওয়া হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন হলে যাচাই বাছাই করে বিল পরিশোধ করা হবে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী এহসানুল হক জানান, বিচারপতির বাড়ির রাস্তার কাজটি সরকারি নির্দেশনা মেনেই করা হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলার রাস্তার কোনো সমস্যা থাকলে তা সংশ্নিষ্ট ঠিকাদারকে দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হবে।