আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে : নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের নয় মাস পরও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ দাবিতে রাজপথে নেমে আসতে হচ্ছে, যা দুঃখজনক। এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগকে বিচার ও সংস্কারের জন্যই মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালেই তাদের সব রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।’
রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে আজ শুক্রবার (২ মে) বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানসহ গত ১৬ বছরের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে সবগুলো আন্দোলনে গণহত্যা চালিয়েছে। আলেমরা মাঠে নেমেছে তাদেরকে হত্যা করেছে, কোটাবিরোধী আন্দোলন, ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, এমনকি নিরাপদ সড়কের আন্দোলনেও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতে ছাত্রদের নেতৃত্বে আন্দোলনে নেমেছিল। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের প্রতিটি পাড়ায়, মহল্লায় মঞ্চ তৈরি হবে। এ দাবিতে এনসিপির সদস্যরা দেশের প্রতিটি গ্রামে যাবে।’
এনসিপির আহবায়ক আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনীতির দল নয়, এটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেপ্তার করে যারা জামিনে মুক্তি দিচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করছে, তাদেরকেও আমরা সতর্ক করে দিতে চাই।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। অথচ এই নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আপনাদেরকে সতর্ক করে বলতে চাই, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, নৌকা মার্কাকে ব্যান করতে হবে। আর আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালে তাদের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।’
সমাবেশে আর বক্তব্য দেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, হান্নান মাসউদ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, নিজাম উদ্দিনসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা।