পঞ্চগড়ে পুশ-ইন করা ২১ বাংলাদেশি আত্মীয়ের জিম্মায় মুক্ত

পঞ্চগড়ের বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশ-ইন করা নারী-শিশুসহ ২১ জন বাংলাদেশিকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। আজ শনিবার (২৪ মে) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের তুলে দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান ও হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম।
আটককৃতদের মধ্যে আলেয়া বেগম জানান, তিনি পরিবারসহ গুজরাটে বসবাস করতেন এবং সেখানেই বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন। গত ২১ মে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে প্রথমে উড়োজাহাজে কলকাতা নিয়ে আসে। সেখান থেকে বাসে করে এনে সীমান্তের কাছে পৌঁছে দেয়। পরে বিএসএফ কর্তৃক পুশ-ইন করা হলে বিজিবি তাদের আটক করে।
আরেক ভুক্তভোগী ফরহাদ হোসেন বলেন, তিনি গুজরাটে একটি কীটনাশক কারখানায় কাজ করতেন। হঠাৎ পুলিশের অভিযানে স্ত্রী-সন্তানসহ আটক হন। পরে পৃথকভাবে তাকে নদীপথে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। গণমাধ্যমে পরিবারের ছবির মাধ্যমে স্ত্রী-সন্তানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পঞ্চগড়ে এসে তাদের ফিরিয়ে নেন।
গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বড়বাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয় এসব বাংলাদেশিকে। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি তাদের আটক করে এবং পরে সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ডোলোপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে রাখা হয় তাদের। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তিন দিনের মাথায় পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয় তাদের।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে জিডি ও প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা ইউএনও জাকির হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয় এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।