টাঙ্গাইলে প্রবাসীর মাইক্রোবাসে ডাকাতি, পুলিশের রেকার চালক গুলিবিদ্ধ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রবাসীর মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে হাইওয়ে পুলিশের রেকার চালক তুহিন মিয়া আহত হয়েছেন। তাকে গুরুতর অবস্থায় কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩১ মে) ভোরে মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী বিউটি আক্তারের পরিবার জানান, বিউটি জর্ডান থেকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামার পর টঙ্গী থেকে তারা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। মাইক্রোবাসে বিউটি, তার ভাবি সুমাইয়া, শ্বশুর আব্দুল হামিদ ও একটি শিশু সন্তান ছিল।
রাত আড়াইটার দিকে মাইক্রোবাসটি মির্জাপুরের পুষ্টকামুরী চরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ পিছন দিক থেকে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস এসে তাদের মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে। এরপর ৭-৮ জনের ডাকাত দল অস্ত্র দেখিয়ে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। তাদের কাছে পিস্তল, পুলিশের ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ, বন্দুক, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দা ছিল। ডাকাতরা প্রবাসীর পরিবার থেকে ৫-৬টি মোবাইল ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকা ও মালামাল লুটে নেয়। চিৎকার করলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
ডাকাতির সময় টহল পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এলে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের রেকার চালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে প্রবাসীর মাইক্রোবাস, ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া হাইয়েস মাইক্রোবাস ও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রবাসীর শ্বশুর আব্দুল হামিদ ও সুমাইয়া অভিযোগ করেন, মাইক্রোবাসের চালক মুস্তাকিন ও হেলপার জুয়েলকে তাদের সন্দেহ হচ্ছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে গেছেন এবং ডাকাতদের সঙ্গে মিলে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন।
গুলিবিদ্ধ তুহিন জানান, ডাকাতদের সংখ্যা ১০-১২ জনের মতো ছিল। তারা এলোমেলোভাবে গুলি চালায়। গুলি তার হাতে লেগেছে এবং অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রবাসীর ভাড়া করা মাইক্রোবাস, ডাকাতদের ফেলে যাওয়া হাইয়েস মাইক্রোবাস ও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আহত তুহিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, মির্জাপুরে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাতেও একটি সয়াবিন তেল ভর্তি ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা চালক ও হেলপারকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে ৬০ ড্রাম তেল ভর্তি ট্রাকটি নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।