দলে ডেমোক্রেসি না থাকলেই ডেমোক্রেসির ভায়োলেশন হয় : ডা. তাহের

‘একজন ব্যক্তি দলীয় পদে থাকায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না—এটা ওই ব্যক্তির গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা’ বিএনপির এমন দাবির বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশকে এখন রিফর্ম করছি এবং চেঞ্জ আসছে। সেভাবে দলগুলো যেন ডেমোক্রেটিক হয়, সেই চেষ্টাও আমাদের করতে হবে। কারণ ডেমোক্রেসির ভায়োলেশন হয় তখনই, যখন নিজ দলেই ডেমোক্রেসি থাকে না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়ার ডিসেন্ট্রালাইজেশন (বিকেন্দ্রীকরণ) করা। যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে পাওয়ার ডিসেন্ট্রালাইজ হয়, সেটি দলীয়ভাবে ডিসেন্ট্রালাইজ হতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতে ইসলামীর এই নায়েবে আমির এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের ফরমেশন (গঠন) নিয়ে একটা সার্চ কমিটি হবে। এ ক্ষেত্রে পাঁচজনকে নিয়ে আমাদের প্রস্তাব ছিল। বিএনপি প্রথমে চারজনের কথা বলেছিল, আমরা বলেছি পাঁচজন হবে। পরে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দলই পাঁচজনের ব্যাপারে একমত হয়েছে অনেকটা। এখনও ফাইনালি ডিসিশন হয়নি। কালকে জানা যাবে।
ডা. তাহের আরও বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, লিডার অব দ্য পার্লামেন্ট অ্যান্ড হেড অব দ্য পার্টি হতে পারবে। আবার এনসিপিসহ কোনো কোনো দল বলেছে, তিনটাতে তিনজন আলাদা ব্যক্তি থাকতে হবে। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী এবং লিডার হাউস একজন হতে পারবে এবং একজন হওয়া উচিত। কারণ লিডার অব দ্য হাউস আর প্রাইম মিনিস্টার যদি এক ব্যক্তি না হন, তাহলে পার্লামেন্টের ভেতরে সামঞ্জস্যতা আসবে না, ডিফারেন্স হবে। যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি একই সময়ে দলীয় প্রধান হতে পারবেন না।’
বক্তব্যের শুরুতে ডা. তাহের মাইলস্টোন স্কুলের যারা নিহত হয়েছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানান। আহতদের সুচিকিৎসা দাবি করেন।
জামায়াতনেতা ডা. তাহের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘শোকাবহ পরিস্থিতিকে পুঁজি করে সকালে মাইলস্টোনের ওখানে একটু বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আবার সচিবালয়েও বিশৃঙ্খলা করেছে। যারা আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে তাদের পরিবারের দাবি থাকবে—এটা খুবই স্বাভাবিক। পুরো নেশন এখন তাদের প্রতি আছে। বিশৃঙ্খলার পেছনে শোনা যায়, আওয়ামী লীগেরও কিছু কিছু দুষ্টচক্র এই পরিস্থিতিটাকে গোলাটে করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত না।’
ডা. তাহের আরও বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলতে চাই, বিতাড়িত,পরাজিত এবং দেশত্যাগে বাধ্য অপশক্তি বাংলাদেশের পুনরায় রাজনীতিতে পুনর্বাসন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো অধিকার নেই। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা যদি শুরু করতে থাকে, তাহলে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জুলাই আগস্টের চেতনা নিয়ে আবারও তাদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব ইনশা-আল্লাহ।