অ্যান্টিভেনম দেওয়ার পরেও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু

চাঁদপুরের হাইমচরে দুধ বিক্রির সময় বিষধর সাপে কামড় দেওয়ার পর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি সোহেল গাজী (৩০) নামে এক যুবককে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঈশানবালা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল গাজী উপজেলার নিলকমল ইউনিয়নের বাসিন্দা। পেশায় তিনি দুধ ব্যবসায়ী ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, দুধ বিক্রির সময় হঠাৎ বিষধর সাপ কামড় দিলে সোহেলকে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, সোহেল জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছেছিল। অ্যান্টিভেনম দেওয়ার পর কীভাবে তার মৃত্যু হলো, তা আমরা বুঝতে পারছি না।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার পর রোগী মাথা সোজা রাখতে পারছিলেন না এবং চোখও খুলতে পারছিলেন না। হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম ছিল, আমরা তা দ্রুত প্রয়োগ করেছি। কিন্তু সাপটি ছিল অত্যন্ত বিষধর। অনেক সময় রোগী দেরিতে হাসপাতালে এলে শরীরে বিষ ছড়িয়ে যায়, ফলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
আনিসুর রহমান আরও বলেন, সাপের কামড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। দেরি হলে শরীরে বিষের প্রভাব বেড়ে যায় এবং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।