ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিলেন বিদ্রোহী সংগঠকরা

বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আসছিলেন বিএনপিপন্থি ক্লাব সংগঠকরা। নির্বাচন পেছানোসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছিলেন তারা। দাবি মানা না হলে ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের হুমকিও দিয়েছিলেন তারা। নির্বাচনের একদিন পরে এবার সেই ঘোষণা দিলেন তারা। ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দিলেন বিসিবি নির্বাচন বয়কট করা ক্লাব সংগঠকরা।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী ক্লাবগুলোর পক্ষে এই ঘোষণা দেন মোহামেডান ক্লাবের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে সকল পর্যায়ের ক্লাব ক্রিকেট, জেলা ও বিভাগীয় ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলাম, সেই সুষ্ঠু নির্বাচন কি হয়েছে? যেহেতু আমরা তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয়, সে কারণেই বলব এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে সকল ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আমরা এই ক্লাবগুলো আর খেলব না। আমরা জেলা পর্যায় থেকেও ক্রিকেটকে বর্জন করব।’
বোর্ডের পক্ষ থেকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে যাবেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আলোচনার তো কিছু নাই, নির্বাচনটাই তো আমরা মানছি না। আমরা নির্বাচনটাই বর্জন করছি। উনাদের এখন বলার কিছু নাই, উনি (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) অবৈধ সভাপতি।’
নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কিন্তু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে সরে দাঁড়ান তিনি। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। তামিম বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি মনে করি না যে, এটা একটা নির্বাচন ছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সাবেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জেএস হাসান তানিম বলেন, ‘আমি ২০০১, ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছি। কিন্তু আমি এরকম নির্বাচন কখনো দেখিনি। এতো প্রহসনমূলক নির্বাচন হবে এটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। এটাতে শুধু ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সংগঠন যারা ছিলেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এর আগে গত শনিবার নির্বাচন পেছানোসহ তিনটি দাবি জানিয়েছিলেন বিদ্রোহী এই সংগঠকরা। তাদের দাবি ছিল- বিসিবির বর্তমান নির্বাহী পর্ষদের সময় বাড়িয়ে নির্বাচনের পুনঃতফসিল, বিকল্প হিসেবে অ্যাডহক কমিটির কাছে দায়িত্ব দেওয়া ও পুনঃনির্ধারিত সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটগ্রহণ করা। এই দাবিতে তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন।